আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৯৫১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডের একটি পার্কে খেলছিলেন লুইস আরমান্দো অ্যালবিনো। তখন তার বয়স ৬ বছর। সেইসময় তাকে অপহরণ করা হয়। ৭৩ বছর পর পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়ার সুযোগ পেলেন আরমান্দো। অনলাইনে পুরনো ফটো এবং সংবাদপত্রের ক্লিপিংস দেখে এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। বে এরিয়া নিউজ গ্রুপ জানিয়েছে যে, ওকল্যান্ডে লুইস আরমান্ডো অ্যালবিনোর ভাতিজি- পুলিশ, এফবিআই এবং বিচার বিভাগের সহায়তায় আমেরিকার পূর্ব উপকূলে বসবাসকারী তার চাচাকে খুঁজে পেয়েছেন। অ্যালবিনোর ভাতিজি ৬৩ বছর বয়সী আলিদা অ্যালেকুইনে জানিয়েছেন তার চাচা বর্তমানে একজন অবসরপ্রাপ্ত অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং তিনি ভিয়েতনামে মেরিন কর্পসে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। জুন মাসে তাকে ক্যালিফোর্নিয়ায় তার পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হবার সুযোগ করে দেন আলিদা। ১৯৫১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি একজন নারী পশ্চিম ওকল্যান্ডের পার্ক থেকে ছয় বছর বয়সী অ্যালবিনোকে ক্যান্ডির লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে। সেইসময় সে তার বড় ভাইয়ের সাথে খেলছিল। অ্যালবিনোকে অপহর করে তাকে পূর্ব উপকূলে নিয়ে যায় ওই নারী, সেখানে তাকে এমন এক দম্পতির হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো যারা তাকে নিজের ছেলের মতো লালনপালন করেছেন।
৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অ্যালবিনো নিখোঁজ ছিল তবে তিনি সর্বদা তার পরিবারের হৃদয়ে ছিলেন এবং তার ছবি আত্মীয়দের বাড়িতে দেখা যেত। অ্যালবিনোর মা ২০০৫ সালে মারা যান, কিন্তু তার ছেলে বেঁচে থাকার আশা তিনি কখনোই ছাড়েননি।
ওকল্যান্ড পুলিশ স্বীকার করেছে যে, অ্যালেকুইনের প্রচেষ্টা ‘তার চাচাকে খুঁজে পেতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। অ্যালেকুইন দীর্ঘদিন ধরে তার চাচাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। ২০২০ সালে অনলাইনে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার ২২% ডিএনএ মিল পান আলিদা। এরপর তিনি পুলিশ ও এফবিআইয়ের সহায়তায় অনুসন্ধান চালিয়ে যান। অবশেষে চলতি বছরের ২০ জুন লুইস আরমান্ডো অ্যালবিনোকে খুঁজে পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে এফবিআই। অ্যালেকুইন বলছেন, ‘আমি সবসময় তাকে খুঁজে পেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমি আমার চাচাকে খুঁজে পেয়েছি। তাই আমি সবাইকে বলব, হাল ছাড়বেন না কখনোই।’
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
Leave a Reply